সময়ের জনমাধ্যম

ঈদের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু, পাওয়া যাবে অনলাইনে

ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বুধবার সকাল ৮টা থেকে অনলাইনে টিকিট বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এবার যাত্রীরা অগ্রিম টিকিট কেবল অনলাইনেই কাটতে পারছেন। স্টেশনের কাউন্টারে কোনো অগ্রীম টিকিট বিক্রি হচ্ছে না।

রেলওয়ে জানিয়েছে, এবার ঈদে পাঁচটি রুটে ১০টি স্পেশাল ট্রেন চলবে। এগুলোর মধ্যে কিছু ট্রেন আগামী ৪ থেকে ৬ জুন এবং ঈদের পর ৯ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত চলাচল করবে। ঈদের দিনও কিছু ট্রেন চলবে। স্পেশাল ট্রেনের টিকিট স্টেশনের কাউন্টার থেকে পাওয়া যাবে, অনলাইনে বিক্রি হবে না।

আজ দেওয়া হচ্ছে ৩১ মে’র টিকিট। সকালে পশ্চিমাঞ্চলে চলাচল করা ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কিনতে পারছেন যাত্রীরা। আর দুপুর ২টার পর পূর্বাঞ্চলে চলাচল করা ট্রেনের টিকিট অনলাইনে দেওয়া হবে।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার দেওয়া হবে ১ জুনের টিকিট, ২৩ মে দেওয়া হবে ২ জুনের টিকিট, ২৪ মে দেওয়া হবে ৩ জুনের টিকিট, ২৫ মে দেওয়া হবে ৪ জুনের টিকিট, ২৬ মে দেওয়া হবে ৫ জুনের টিকিট, ২৭ মে দেওয়া হবে ৬ জুনের অগ্রিম টিকিট। ঈদের ফিরতি যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হবে ৩০ মে। এদিন দেওয়া হবে আগামী ৯ জুনের অগ্রিম টিকিট।

রেলওয়ের টিকিট বিক্রির ওয়েবসাইটে দেখা যায়, উত্তরাঞ্চলের ট্রেনগুলোর টিকিটের চাহিদা বেশি। এই অঞ্চলে চলাচল করা বেশিরভাগ ট্রেনের টিকিট সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে শেষ হয়ে গেছে। তবে উত্তর অঞ্চলের কিছু ট্রেনের টিকিট এখনো আছে।

কমলাপুরের স্টেশন ম্যানেজার মো. শাহাদাত হোসেন জানান, ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছ। আগামী ৩১ মে থেকে ঈদের ট্রেনযাত্রা শুরু হবে। আমরা ধারণা করছি, আগামী ৪ এবং ৫ জুনের অগ্রিম টিকিটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকবে। তবে ট্রেনের আসনসংখ্যা সীমিত, ফলে সবাই টিকিট পাবেন না সেটাও বাস্তবতা।

এবার ঈদে সারাদেশে ৪৩টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে। এসব ট্রেনের মোট আসন সংখ্যা প্রায় ৩৩ হাজার ৩১৫। এর বাইরে প্রতিটি ট্রেনের ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি করা হবে স্টেশনের কাউন্টার থেকে।