অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর শনিবার (৬ জুলাই) এই সিদ্ধান্ত নেয় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। ফলে দেশটির প্রধান বিমানবন্দর কার্যত বন্ধ হয়ে পড়েছে, বাতিল করা হয়েছে সব আগত ও প্রস্থানকারী ফ্লাইট।
হামলার পর ইসরায়েল অধিকৃত বিভিন্ন এলাকায় বিমান হামলার সতর্ক সংকেত বাজতে শুরু করে। ডেড সি অঞ্চলেও সাইরেন বেজে ওঠে। এখন পর্যন্ত হতাহত কিংবা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, হামলার সময় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় ছিল এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধে কাজ করেছে।
এর আগেও গত ১ জুলাই বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর লক্ষ্য করে একটি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি করেছিল ইয়েমেনি সেনাবাহিনী। আল-মাসিরাহ টিভিতে প্রচারিত এক বিবৃতিতে সামরিক মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি বলেছিলেন, ‘ফিলিস্তিন-২’ নামের একটি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনা করা হয়, যা সফলভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানে।
তিনি জানান, একই সময়ে তেল আবিব, ইলাত ও আশকেলন অঞ্চলের কয়েকটি সংবেদনশীল স্থাপনায় ড্রোন হামলাও চালানো হয়।
গাজায় ইসরায়েলের অভিযান বন্ধে চাপ তৈরির অংশ হিসেবে ইয়েমেন সমুদ্রপথে কৌশলগত অবরোধও আরোপ করেছে। এই অবরোধের লক্ষ্য হলো ইসরায়েলে সামরিক সরঞ্জাম প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে গাজায় চলমান মানবিক সংকটের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা।
ইয়েমেনি সেনাবাহিনী হুঁশিয়ারি দিয়েছে, গাজায় ইসরায়েল তাদের সামরিক অভিযান সম্পূর্ণভাবে বন্ধ না করা পর্যন্ত এই ধরনের হামলা ও অবরোধ অব্যাহত থাকবে।
মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ইয়েমেনের এই হামলা নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েলের আকাশপথ ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগে এমন ব্যাঘাত দীর্ঘস্থায়ী হলে এর প্রভাব পড়বে পুরো অঞ্চলের স্থিতিশীলতার ওপর।