ইসরায়েলের নৃশংসতার প্রতিবাদে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা জার্মানির


ফিলিস্তিনের নিরীহ নারী, পুরুষ ও শিশুদের ওপর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বোমা ও গুলিবর্ষণ চালিয়েও ক্ষান্ত হচ্ছেনা। পাশাপাশি কৃত্রিম দুর্ভিক্ষের মাধ্যমে গাজাবাসীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের পর এবার পুরো গাজা দখলে নিতে চাইছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তার এই ঘোষণার পরে বিশ্বব্যাপী উঠেছে সমালোচনার ঝড়, ইসরায়েলের বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত দেশগুলোও জানাচ্ছে নিন্দা। এবার জার্মানির সরকার ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছে।
জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ মের্জ জানিয়েছেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
জার্মানির এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক গুরুত্ব বহন করে, ইসরায়েলের অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশ জার্মানি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর দীর্ঘদিনের নিষ্ঠুর সামরিক অভিযান, গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠীগুলোকে সম্পূর্ণ নির্মূল করতে না পারা, এবং নেতানিয়াহুর গাজা দখলের সাম্প্রতিক ঘোষণা এ সিদ্ধান্তের পেছনে মূল কারণ।
চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ মের্জের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বর্তমানে যে সামরিক পরিকল্পনা নিয়ে ইসরায়েল এগোচ্ছে, তাতে কীভাবে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীকে গাজা থেকে বিদায় করা যাবে এবং সেখানে বন্দি ইসরায়েলি জিম্মিদের কীভাবে মুক্ত করা সম্ভব হবে- তা বুঝতে পারা দিন দিন কঠিন হয়ে উঠছে।’