সময়ের জনমাধ্যম

ইরানের হাতে চীনের সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেম!

ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সংঘর্ষের পর ইরান দ্রুত তার ক্ষতিগ্রস্ত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেছে। চীন থেকে আধুনিক সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেম সংগ্রহ করেছে তেহরান। 

সংবাদ মাধ্যম মিডলইস্টআইয়ের প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, ২৪ জুন ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে এসব অস্ত্র সরবরাহ শুরু হয়। এই ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য মিত্ররা সচেতন এবং হোয়াইট হাউসকেও এ সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হয়েছে।

যদিও কী পরিমাণ মিসাইল এসেছে সে বিষয়ে এখনো বিস্তারিত জানানো হয়নি, তবে জানা গেছে ইরান এসব অস্ত্রের বিনিময়ে তেল রপ্তানি করছে। চীন ইরানের প্রধান তেল ক্রেতা হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। মার্কিন সরকারের তথ্য অনুসারে, ইরানের মোট তেল রপ্তানির প্রায় ৯০ শতাংশই চীনের বাজারে যাচ্ছে।

বিশ্লেষকদের মতে, চীন ও ইরানের সামরিক ও কৌশলগত সম্পর্ক দিন দিন ঘনিষ্ঠ হচ্ছে। গত কয়েক বছরে পশ্চিমা বিশ্ব এই দুই দেশের মধ্যকার দূরত্বের কথা বললেও, সাম্প্রতিক সময়ের এই অস্ত্র সরবরাহ তা ভুল প্রমাণ করছে।

ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্টের হামলায় ইরানের বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে এবং উচ্চপদস্থ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা হত্যার শিকার হয়েছেন। তবে ইরানও পাল্টা জবাব দিয়ে তেল আবিবসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

ইরান বর্তমানে রাশিয়ার এস-৩০০  মিসাইল সিস্টেম ব্যবহার করে এবং পাশাপাশি নিজেদের তৈরী খোরদাদ ও বাভার-৩৭৩ সিস্টেম চালু করেছে। যদিও এসব সিস্টেম আধুনিক ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান এফ-৩৫ এর বিরুদ্ধে কতটা কার্যকর তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

চীন ইতোমধ্যেই পাকিস্তান ও মিশরকে এইচকিউ-৯ ও এইচকিউ-১৬  মিসাইল সিস্টেম সরবরাহ করছে, যা দক্ষিণ ও মধ্যপ্রাচ্যে চীনের সামরিক প্রভাব বৃদ্ধি করছে ।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরান ইস্যু নিয়ে খুব শীঘ্রই বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে। হোয়াইট হাউস এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

Reendex

Must see news