আলোচিত ১এমডিবি কেলেঙ্কারি-সংক্রান্ত আরেকটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। শুক্রবার কুয়ালালামপুর হাইকোর্ট তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন। এটি নাজিবের বিরুদ্ধে এ ধরনের কেলেঙ্কারি-সংক্রান্ত দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ মামলার বিচার।
৭২ বছর বয়সী নাজিবের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার-সংক্রান্ত চারটি এবং অর্থ পাচারের ২১টি অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, নাজিব ১এমডিবি থেকে প্রায় ২২০ কোটি মালয়েশীয় রিঙ্গিত (প্রায় ৫৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার) অবৈধভাবে স্থানান্তর করেছিলেন।
কৌঁসুলিরা বলছেন, এক দশকেরও বেশি আগে নাজিব প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও ১এমডিবির উপদেষ্টা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ তহবিল থেকে বিপুল অঙ্কের অর্থ নিজের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবগুলোতে সরিয়ে নেন। নাজিব এর আগে ২০২০ সালে ১এমডিবির প্রায় ৯৯ লাখ ডলার তহবিল আত্মসাতের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন। ওই মামলা তাকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২০২২ সাল থেকে তার সাজার মেয়াদ শুরু হয়। যদিও পরে তার সাজা কমিয়ে ছয় বছর করা হয়।
নাজিবের বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় মামলায় তিনি দোষী সাব্যস্ত হলেন। এটিকে এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে হওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মামলা বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। কারণ, এতে সরাসরি ১এমডিবি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং অনেক বড় অঙ্কের অর্থ জড়িত ছিল। সাত বছর ধরে তার বিরুদ্ধে এই বিচারিক প্রক্রিয়া চলেছে। এ মামলায় আইনজীবীরা নাজিবসহ ৭৬ জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করেন।
নাজিবের আর্থিক কেলেঙ্কারির বিষয়ে নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এশিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট মালয়েশিয়ার সম্মানসূচক গবেষণা সহযোগী ব্রিজেট ওয়েলশ বলেন, ‘এ মামলায় বহুবার বিলম্ব হয়েছে এবং বিষয়টি বোঝা খুবই জটিল।’
আল–জাজিরাকে ওয়েলশ আরও বলেন, এই আর্থিক অপরাধগুলো বহুস্তরবিশিষ্ট। আর পুরো প্রক্রিয়াটাই ছিল দীর্ঘ ও বিস্তৃত।