আফগানিস্তানের বেশ কিছু অঞ্চলে দেখা দিয়েছে তীব্র পানি সংকট। আর এই কঠিন বাস্তবতার সবচেয়ে বেশি শিকার হচ্ছেন নারীরা। তালেবান শাসনের কঠোরতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাদের প্রতিদিনের জীবন হয়ে উঠেছে আরও দুর্বিষহ।
আফগানিস্তানের মধ্য বামিয়ান প্রদেশের কাভরিয়াকে নামের প্রত্যন্ত গ্রামে, নারীরা প্রতিদিনই গাধার সাথে হলুদ প্লাস্টিকের জেরি ক্যান বেঁধে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেন। ধুলোময় গিরিখাত দিয়ে তারা যতটা সম্ভব পানযোগ্য জল সংগ্রহ করেন। এখানে বসবাসকারী প্রায় ৩০ জন মানুষের জন্য পান করার মতো যথেষ্ট পানিও নেই, স্বাস্থ্যবিধির চাহিদা তো অনেক দূরের কথা।
স্থানীয় বাসিন্দা, ২৬ বছর বয়সী মাসুমা দারওয়েশি বলেন, ‘প্রতিদিন প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র পরিষ্কার করার বা গোসল করার জন্য পর্যাপ্ত পানি নেই এবং আমাদের স্বাস্থ্যকর টয়লেটও নেই।’
আফগান পরিবারগুলোতে নারীরাই সাধারণত শিশু, অসুস্থ ও বয়স্কদের দেখাশোনার প্রধান দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি, পরিবারের জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও গৃহস্থালি কাজের দায়িত্বও তাদের কাঁধেই থাকে।
দারওয়েশি গ্রামের স্কুল শিক্ষিকা শুকরিয়া আত্তায়ে বলেন, ‘রান্না করা, থালা-বাসন পরিষ্কার করা, পানি আনা, কাপড় ধোয়া, বাচ্চাদের যত্ন নেওয়া, বাচ্চাদের গোসল করানো এ সবকিছুই নারীরা করে থাকেন।’
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সতর্ক করে বলেছে, আফগানরা পানির সংকটের কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক হুমকির মুখে রয়েছে এবং এর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে নারীদের ওপর। তালেবান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে নারী ও মেয়েদের চলাচল, শিক্ষা এবং কাজের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করায় এই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।