আন্তর্জাতিক আইন ভেঙে পশ্চিম তীরে মার্কিন স্পিকার, ফিলিস্তিনের তীব্র প্রতিবাদ


অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইহুদিদের একটি অবৈধ বসতি পরিদর্শন করে আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচিত হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার মাইক জনসন। যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় সর্বোচ্চ পদমর্যাদার এই কর্মকর্তার এমন সফরকে আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এটিই প্রথমবার, যুক্তরাষ্ট্রের এত উচ্চপদস্থ একজন কর্মকর্তা পশ্চিম তীরের কোনো অবৈধ বসতিতে সফর করলেন।
ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের বিবৃতিতে বলেছে, জনসনের এই সফর ‘সহিংসতার চক্রের অবসান’ ঘটানোর জন্য আরব দেশগুলো এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিজেদের প্রচেষ্টার সম্পূর্ণ পরিপন্থী। এই সফর বসতি স্থাপনকারীদের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের সাধারণ জনগণের অবস্থানের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। মন্ত্রণালয় আরও জানায়, ‘তারা এটা নিশ্চিত করছে যে বসতি স্থাপনের সব কার্যকলাপ অবৈধ ও বেআইনি। এটি দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের বাস্তবায়ন ও শান্তি অর্জনের সুযোগ ক্ষুণ্ন করে।
আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি স্থাপন বৈধ। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ২০১৬ সালে দেওয়া এক রায়ে ইসরায়েলের এই দাবিকে অযৌক্তিক ঘোষণা করেছিল, যদিও ইসরায়েল তা প্রত্যাখ্যান করে। গত বছরও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছিল যে, অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ইসরায়েলের উপস্থিতি বেআইনি এবং ‘যত দ্রুত সম্ভব’ তা বন্ধ করা উচিত।
মাইক জনসনের এই সফর নিয়ে জাতিসংঘের মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, ‘বসতি স্থাপনের বিষয়ে আমাদের অবস্থান আপনারা জানেন-আন্তর্জাতিক আইনে এটা অবৈধ।’
গত জুলাই মাসে পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতায় দুজন মার্কিন নাগরিকও নিহত হয়েছিলেন। এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই জনসনের এই সফর বিতর্ক আরও উসকে দিয়েছে।