সময়ের জনমাধ্যম

আগ্রাসন বন্ধে ইসরায়েলকে তিন দেশের কঠোর হুঁশিয়ারি

গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে চরমে পৌঁছেছে মানবিক সংকট। এমন প্রেক্ষাপটে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডা যৌথভাবে ইসরায়েলকে অবিলম্বে অভিযান বন্ধ এবং মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। ইসরায়েলকে এই তিন দেশ সতর্ক করে বলেছে, তাদের দাবি উপেক্ষা করলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘কঠোর পদক্ষেপ’ নেওয়া হবে।

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বিরোধী দলনেতা স্যার কেইর স্টারমার, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং কানাডার সাবেক কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর মার্ক কার্নি যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, ‘গাজায় সাধারণ মানুষের ওপর চলমান নিষ্ঠুরতা এখন অসহনীয় মাত্রায় পৌঁছেছে।’ তারা উল্লেখ করেন, ২ মার্চ থেকে গাজায় কোনো খাদ্য, ওষুধ বা জ্বালানি প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি, যাকে জাতিসংঘ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ বলে অভিহিত করেছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই বিবৃতির কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, ‘তিন নেতা হামাসকে পুরস্কৃত করছেন এবং ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার খর্ব করছেন।’ তিনি জানান, ইসরায়েল ‘প্রাথমিকভাবে কিছু খাদ্য ঢুকতে দেবে’, তবে গাজায় তাদের পুরো নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরিকল্পনা অব্যাহত থাকবে।

যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডা গাজার জনগণের জন্য সহায়তা অস্বীকার করাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ এবং ‘আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘনের ঝুঁকি’ বলে উল্লেখ করে ইসরায়েলি নেতাদের ‘ঘৃণ্য ভাষা’ এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি সংক্রান্ত হুমকিরও নিন্দা জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় নিহত প্রায় ১,২০০ ব্যক্তি ও আটক ২৫১ জিম্মির কথা স্মরণ করে অবিলম্বে অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তির আহ্বান জানানো হয়েছে। বর্তমানে গাজায় হামাসের হাতে ৫৮ জন জিম্মি রয়েছেন, যাদের মধ্যে ২৩ জনের জীবিত থাকার সম্ভাবনা আছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরায়েলি অভিযানে এখন পর্যন্ত ৫৩,৫০০ এর কাছাকাছি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ইউরোপের প্রভাবশালী তিন নেতাই দুই রাষ্ট্র সমাধানের প্রতি তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন, যেখানে ইসরায়েলের পাশাপাশি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের সহাবস্থানের প্রস্তাব রয়েছে।