বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি পেয়েছে নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)। সোমবার (৭ জুলাই) ভারতীয় বংশোদ্ভূত সঞ্জোগ গুপ্তাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি এর আগে ‘জিওস্টার’-এর ‘স্পোর্টস অ্যান্ড লাইভ এক্সপেরিয়েন্স’ বিভাগের সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আইসিসির চেয়ারম্যান জয় শাহ বলেছেন, ‘সঞ্জোগ গুপ্তা ক্রীড়া কৌশল, প্রযুক্তি ও বাণিজ্যিকীকরণে সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা নিয়ে আইসিসিতে যোগ দিচ্ছেন। তার ভক্ত-দৃষ্টি ও আধুনিক চিন্তাধারা ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে।’
গুপ্তা দায়িত্ব নিচ্ছেন জিওফ অ্যালারডাইসের জায়গায়, যিনি ২০২০ সালে অন্তর্বর্তীকালীন সিইও হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন এবং ২০২১ সালে পূর্ণকালীন সিইও হন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে তিনি সরে দাঁড়ান।
আইসিসির তথ্য অনুযায়ী, এই পদের জন্য ২৫টি দেশের ২,৫০০ জনের বেশি আবেদন করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত ১২ জনের তালিকা থেকে বিশেষ মনোনয়ন কমিটি সঞ্জোগ গুপ্তার নাম সুপারিশ করে এবং আইসিসির পূর্ণ বোর্ডে তা অনুমোদিত হয়।
সঞ্জোগ গুপ্তা বলেছেন, ‘বিশ্বজুড়ে প্রায় ২০০ কোটি সমর্থক থাকা ক্রিকেট এখন অভাবনীয় সম্প্রসারণের দ্বারপ্রান্তে। ২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে ক্রিকেটের অন্তর্ভুক্তি এবং প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতি খেলাটির নতুন বিস্তারের সুযোগ তৈরি করবে।’
২০১০ সালে ‘স্টার ইন্ডিয়া’-তে যোগ দিয়ে তার পথচলা শুরু। কনটেন্ট, প্রোগ্রামিং ও স্ট্র্যাটেজি বিভাগ পেরিয়ে ২০২০ সালে তিনি ‘স্টার স্পোর্টস’-এর প্রধান হন। তার নেতৃত্বে ভারতে বহুভাষিক সম্প্রচার, ডিজিটাল-প্রথম কভারেজ এবং নারী ক্রীড়ার প্রসারে দৃষ্টান্তমূলক পরিবর্তন আসে।
২০২৪ সালে ‘ভায়াকম১৮’ ও ‘ডিজনি-স্টার’ একীভূত হয়ে ‘জিওস্টার’ গঠিত হলে, তাকে নতুন এই ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানের সিইও করা হয়।
গুপ্তার বড় কিছু সাফল্য:
- ‘আইপিএল’ ও ‘আইসিসি’ ইভেন্টকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়া
- ‘প্রো কাবাডি’ ও ‘আইএসএল’-এর জনপ্রিয়তা বাড়ানো
- ‘প্রিমিয়ার লিগ’ ও ‘উইম্বলডন’-এর মতো আন্তর্জাতিক আসরের দর্শকভিত্তি বিস্তৃত করা
- নারী ক্রীড়া এবং প্রযুক্তিনির্ভর সম্প্রচারে নেতৃত্ব দেওয়া
সঞ্জোগ গুপ্তা এমন একজন, যিনি বহু আগেই মিডিয়া ও খেলাধুলার সংযোগে ভবিষ্যৎ দেখেছিলেন। তার নেতৃত্বে আইসিসির সামনে সুযোগ রয়েছে আধুনিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বৈশ্বিক ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নির্মাণের। এখন দেখার বিষয় গুপ্তার ভিশন বাস্তবে কতটা সফল হয়।