অস্ট্রেলিয়ায় ধর্মীয় উৎসবে দুই আইএস জঙ্গীর হামলায় নিহত ১৫, অস্ত্র আইন নিয়ে কঠোর হচ্ছে সরকার

অস্ট্রেলিয়ায় ইহুদিদের ধর্মীয় উৎসবে বন্দুকধারীর হামলা চালানোর ঘটনার পর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে সরকার। শিগগিরই সাধারণ মানুষের কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কিনে নেওয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) আলবানিজ বলেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে হাজারো আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহের পর ধ্বংস করা হবে।
রোববার ইহুদি উৎসব হানুকা উদ্যাপনের প্রথম দিন দুই বন্দুকধারী সেখানে হামলা করে। এতে ১৫ জন নিহত ও বহু মানুষ আহত হন। ঘটনার সময় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ঘটনাস্থলে নিহত হন ৫০ বছর বয়সি এক বন্দুকধারী। তার আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের তথ্য থেকে জানা গেছে- তার নামে ছয়টি অস্ত্র নিবন্ধিত ছিল। এ ঘটনার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রীর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন সংস্কারের দাবি জোরালো করেছে। আরেক হামলাকারী হাসপাতালে আহত অবস্থায় রয়েছে। দেশটির কর্তৃপক্ষ বলছে, হামলাকারী দুজনই মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্য এবং আইএস সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্য তারা।
শুক্রবারের ঘোষণায় আলবানিজ বলেন, বন্ডি সৈকতে হামলার ঘটনায় সাধারণের কাছ থেকে অস্ত্র সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা প্রমাণ করেছে। আলবানিজ জানান, বর্তমানে দেশটিতে আনুমানিক ৪০ লাখ আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। নতুন কর্মসূচিতে উদ্বৃত্ত, নবনিষিদ্ধ ও বেআইনি অস্ত্র লক্ষ্যবস্তু হবে এবং এই পুরো প্রক্রিয়ার ব্যয় ফেডারেল ও অঙ্গরাজ্য সরকার ভাগ করে নেবে।
১৯৯৬ সালে তাসমানিয়ার পোর্ট আর্থারে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ৩৫ জনকে হত্যার ঘটনার উল্লেখ করে অ্যান্থনি আলবানিজ বলেন, সে বার সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে কড়া পদক্ষেপ জারি করা হয়েছিল। এবারও অনুরূপ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পোর্ট আর্থার ঘটনার পর অস্ট্রেলিয়া সরকার প্রায় ছয় লাখ ৪০ হাজার নিষিদ্ধ অস্ত্র জমা নেয়, যার ক্ষতিপূরণ বাবদ ব্যয় হয় প্রায় ৩০৪ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার। প্রতিবেশী নিউজিল্যান্ডও ২০১৯ সালের ক্রাইস্টচার্চ হামলার পর অস্ত্র আইন কড়াকড়ি ও ফিরিয়ে নেওয়ার কর্মসূচি চালু করেছিল।













