সময়ের জনমাধ্যম

সমাজের নানা অসঙ্গতির গল্পের চিত্র ‘রেড কয়েন’

পাড়া মহল্লায় কীভাবে বড় ভাইদের আশ্রয় প্রশ্রয়ে আমাদের কিশোররা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, সমাজের বিভিন্ন অনিয়ম, আতঙ্ক, পেশা হারিয়ে যাওয়ার গল্প ও অস্থিরতা নিয়ে ‘রেড কয়েন’ সিনেমা নির্মাণ করা হয়েছে।

৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে প্রদর্শিত হয়েছে মো: দিদারুল আলমের কাহিনী ও চিত্রনাট্য অবলম্বনে নির্মিত সিনেমা ‘রেড কয়েন।’

এর মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন নবাগত রাশেদুল ইসলাম। দিনব্যাপী তিন ভাগে প্রদর্শিত হয় চলচিত্রটি। ওইদিন তিন দফায় সিনেমাটির প্রদর্শনী হয়। প্রতিবারই অডিটোরিয়াম ছিল দর্শকে পরিপূর্ণ।

চট্টগ্রামের থিয়েটার অঙ্গনের সিনিয়র আর্টিস্ট, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিনয়শৈলীতে নির্মিত এই সিনেমা দেখতে আসা দর্শকদের উচ্ছ্বাসও ছিল মনে রাখার মতো। স্কুল, কলেজ, নাট্যকর্মী, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সচেতন নাগরিক সমাজের প্রশংসা কুড়িয়েছে রেড কয়েন।

তারা বলেন, এই ধরনের সচেতনমূলক সিনেমা আরও বেশি নির্মাণ করা উচিৎ যাতে সব শ্রেণির লোকজন দেখতে পারে। তাদের মতে, সিনেমার ড্রোন শট, বিভন্ন লোকেশন, কালার ও ব্যাকগ্রাউন্ড সাউন্ড ছিল খুবই উপভোগ্য।

সিনেমা নিয়ে কথা হয় নবাগত চিত্রনায়ক রাশেদুল ইসলামের সাথে। তিনি বলেন, ‘এই সিনেমার গল্পে একটা ম্যাজিক আছে। আমার চরিত্রে নাম ছিলো বাসু। সিনেমাটিতে কিশোর গ্যাং- এর ভীতিকর তৎপরতা, সমাজপ্রগতিতে এর চরম নেতিবাচক প্রভাব এবং সমাধানে যুক্তিপূর্ণ দিকনির্দেশনা রয়েছে। এক সেকেন্ডের জন্যও বিরক্ত হওয়ার সুযোগ নেই। আশা করছি এখানে অন্য রাশেদকে খুঁজে পেয়েছে দর্শক।’

সিনেমাটির কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছেন মো: দিদারুল আলম, পরিচালক অনির্বাণ করিম, প্রযোজনায় আ্যাডভোকেট কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু ও কারিগরী সহযোগিতায় ছিলেন মো: মনিরুজ্জামান মনির।