সময়ের জনমাধ্যম

শিরোপা জয়ের হিসেবে সবার উপরে মেসি

বর্ণিল ফুটবল ক্যারিয়ারে প্রায় সব পুরষ্কারই জিতেছেন লিওনেল মেসি। ক্লাব ফুটবলে তার অর্জনের পাল্লা অনেক ভারী হলেও, একমাত্র অপূর্ণতা ছিলো স্বপ্নের বিশ্বকাপ ট্রফিটি। সবশেষ কাতার বিশ্বকাপে সেই অপূর্ণতাও মিটিয়েছেন। নিজেও বলেছেন ফুটবল থেকে তার আর খুব বেশি পাওয়ার কিছু নেই। কিন্তু লিওনেল মেসি তো নিজ থেকে থেমে যাওয়ার পাত্র নন। মুখে যতই বলুক না কেন, মাঠের খেলায় তার সাফল্যের ক্ষুধা যে এখনো তীব্র, সেটি আবার বুঝিয়েছেন ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেয়ার পর। তলানিতে পড়ে থাকা একটি দলের হয়ে অভিষেকের মাত্র এক মাসের মধ্যে এনে দিলেন তাদের ইতিহাসের প্রথম শিরোপা।

এর মধ্য দিয়ে নিজের ট্রফি ক্যাবিনেটটাও আরেকটু সমৃদ্ধ করে নিলেন মেসি। ফুটবল ইতিহাসে এককভাবে শিরোপা জয়ে সবার ওপরে উঠলেন মেসি। এ পথে তিনি পেছনে ফেলেছেন দীর্ঘদিনের সতীর্থ দানি আলভেজকে। যৌন নিপীড়নের অভিযোগে কারাগারে আটক ব্রাজিলিয়ান তারকা আলভেজ তাঁর ক্যারিয়ারে জিতেছেন ৪৩টি শিরোপা। তাঁকে ছাড়িয়ে এবার মেসি জিতলেন ৪৪তম শিরোপা। এখানেই হয়তো শেষ নয়। সামনের দিনগুলোয় মেসির নামের সঙ্গে হয়তো যুক্ত হবে নতুন নতুন শিরোপা।

ক্লাব ফুটবলে মেসির শিরোপার সংখ্যা এখন ৩৯টি। এর মধ্যে সাবেক ক্লাব বার্সেলোনার হয়ে জিতেছেন ৩৫টি শিরোপা। ১০টি লা লিগা, ৪টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ৭টি কোপা দেল রে, ৮টি স্প্যানিশ সুপারকোপা, ৩টি করে উয়েফা সুপার কাপ ও ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ শিরোপা রয়েছে মেসির। ২০২১ সালে পিএসজিতে পাড়ি জমানোর পর ফরাসি ক্লাবটির হয়ে ২টি লিগ ‘আঁ’ এবং ১টি ট্রফি দে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পকেটে পুড়েছেন তিনি। তৃতীয় ক্লাব হিসেবে বেছে নেয়া ইন্টার মায়ামির হয়ে আজই জিতেছেন লিগস কাপ।

এক সময় নিজ দেশ আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে মেসির শিরোপা না জিততে পারা নিয়ে আলোচনা কম হয়নি। এমনকি টানা দুইবার কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠেও শিরোপা বঞ্চিত থাকার ফলে হতাশায় অবসর নিয়েছিলেন জাতীয় দল থেকে। তবে যুব বিশ্বকাপ ও অলিম্পিক শিরোপার পর ২০২১ কোপা আমেরিকা শিরোপা দিয়ে জাতীয় দলের হয়ে প্রথম মেজর কোন টুর্নামেন্ট জয়ের স্বাদ পান মেসি। এরপর মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্ব লা ফিনালিসিমায় ইতালিকে হারানোর পর কাতার বিশ্বকাপ জয়ের মধ্য দিয়ে ট্রফি জয়ের চক্র পূর্ণ করেন লিওনেল মেসি।