চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বিধ্বস্ত হওয়া বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানের পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার
আসিম জাওয়াদ মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে পতেঙ্গার বিএনএস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। আহত কো-পাইলট উইং কমান্ডার সোহানকে জহুরুল হক ঘাঁটির মেডিক্যাল স্কোয়ার্ডনে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি ওয়াই এ কে-১৩০ (YAK 130) প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পতেঙ্গা এলাকায় দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় প্রশিক্ষণ বিমানটির দুজন পাইলট প্যারাস্যুটের সাহায্যে নদীতে অবতরণ করার সময় আহত হন। এরপর তাদের দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রশিক্ষণ বিমানটি পতেঙ্গার নৌ-বাহিনীর বোট ক্লাবের ওপর দিয়ে উড়তে দেখা যায়। এ সময় বিমানটির পেছনে আগুনের হল্কা দেখতে পান তারা। এর পরপরই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে কর্ণফুলী নদীর মোহনায় সাগরে বিধ্বস্ত হয়।
দুপুরে চট্টগ্রাম নৌ-পুলিশের সদরঘাট থানার ওসি জানান, চট্টগ্রামের জহুরুল হক ঘাঁটির বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিধ্বস্ত হয়। বিমানে দুইজন পাইলট ছিলেন। এরমধ্যে স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদ বিএনএস পতেঙ্গা হাসপাতালতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১২টায় মারা গেছেন। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করাসহ আইনগত বিষয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আহত অপরজন উইং কমান্ডার সোহান জহুরুল হক ঘাঁটির মেডিক্যাল স্কোয়ার্ডনে চিকিৎসাীন।
